ঢাকা,বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের মানবপাচার সংশ্লিষ্ট রিপোর্টে বাংলাদেশের অবনতি

অনলাইন ডেস্ক :;71616_Naz-3

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘ট্রাফিকিং ইন পার্সন’ শীর্ষক রিপোর্টের সূচকে বাংলাদেশের অবনতি ঘটেছে। বিশ্বব্যাপী মানবপাচার পরিস্থিতি নিয়ে তৈরি করা এই রিপোর্টে ৫ বছর ধরে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ‘টায়ার ২’ বা দ্বিতীয় স্তরের দেশগুলোর তালিকায়। তবে এবার বাংলাদেশকে রাখা হয়েছে ‘টায়ার ২ ওয়াচ লিস্ট’ বা ‘নজরদারিতে থাকা দ্বিতীয় স্তরে’র দেশগুলোর পাশে। এ তালিকায় বাংলাদেশ ছাড়াও আরও ৪৫টি দেশ রয়েছে। চীন, রাশিয়া ও ইরানকে রাখা হয়েছে তৃতীয় বা সবচেয়ে বাজে স্তরের দেশগুলোর তালিকায়। আর ‘স্পেশাল কেইস’-এর তালিকায় রয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়া, ইয়েমেন ও সোমালিয়া।
রিপোর্টের বাংলাদেশ অংশে বলা হয়েছে, মানবপাচার নির্মূলে ন্যুনতম মানদ- বাংলাদেশ পুরোপুরি অনুসরণ করে না। তবে এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টা চালিয়েছে দেশটি।
এতে বলা হয়েছে, আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে বাংলাদেশ প্রচেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু গতবারের চেয়ে এবার অধিকতর প্রচেষ্টা দেখাতে পারেনি সরকার। মানবপাচার সংশ্লিষ্ট অপরাধের ঘটনা তদন্ত, বিচার ও সাজার হার কমেছে।
এতে আরও বলা হয়, মানবপাচারে সরকারী কর্মকর্তাদের জড়িত থাকাটা এখনও গুরুতর এক সমস্যা। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, সীমান্ত ও মানবশক্তি সংস্থার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাতে সরকার কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
সরকার এবার কম সংখ্যাক ভুক্তভোগীকে চিহ্নিত করতে পেরেছে। সুরক্ষামূলক সেবার ক্ষেত্রে সরকারের কোনো আনুষ্ঠানিক মেকানিজম নেই। মানবপাচারের ভুক্তভোগীদের জন্য বিশেষ পুনর্বাসন সেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। এনজিওগুলো জানিয়েছে, পর্যাপ্ত তদারকির অভাবে ভিকটিমরা প্রায়শই পুনঃপাচারের শিকার হয়। মূলত, সরকারের উদ্যোগের অভাবকেই এই তালিকায় বাংলাদেশকে নিচের স্তরে রাখার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: